Bangladesh at a glance | এক নজরে বাংলাদেশ | সাধারণ জ্ঞান - বাংলা

Posted on 25th Nov 2022 11:19:20 PM General Knowledge


ভৌগলিক অবস্থান : ২০°৩৪´ ও ২৬°৩৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০১´ ও ৯২°৪১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ বিস্তৃতি প্রায় ৪৪০ কিলোমিটার এবং উত্তর উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ৭৬০ কিলোমিটার।

আয়তন : ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২০ অনুসারে)।

মোট সীমানা : ৫১৩৮ কি.মি, স্থল সীমানা ৪৪২৭ কি.মি, জল সীমা ৭১১ কি.মি.। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ৪১৫৬ কি.মি. এবং মায়ানমারের সঙ্গে ২৭১ কি.মি.।

আঞ্চলিক সমুদ্র সীমা : ১২ নটিক্যাল  মাইল (২২.২২ কি.মি.), সন্নিহিত এলাকা ১৮ নটিক্যাল  মাইল এবং অর্থনৈতিক সমুদ্র সীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০.৪০ কি.মি.)।

জনসংখ্যা : ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। পুরুষের সংখ্যা ৮ কোট ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সালের প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী)।

ধর্ম ভিত্তিক জনসংখ্যা : ইসলাম ৯১.০৪%, হিন্দু ৭.৯৫%, বৌদ্ধ ০.৬২%, খ্রিস্টান ০.৩০% এবং অন্যান্য ০.১২% (২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী)। জনসংখ্যায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অষ্টম, আয়তনে বিশ্বে ৯৪তম। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে পঞ্চম এবং সার্র্র্কভুক্ত দেশের মধ্যে তৃতীয় (UNFPA-2014)।

গড় আয়ু : ৭৪ বছর (বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান ২০২২ প্রতিবেদন অনুযায়ী)।

জাতীয় পতাকা : গাঢ় সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত। আয়তন ১০:৬। রূপকার-চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান। জাতীয় পতাকার প্রথম নকশা তৈরি করেন শিব নারায়ন দাস (৬ জুন ১৯৭০) খ্রি.। তার নকশাকৃত পতাকার মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল। পতাকা থেকে মানচিত্র বাদ দেওয়া হয় ১৯৭২ খ্রি. ৪ জানুয়ারী এবং বর্তমান জাতীয় পতাকা গৃহীত হয় ১৯৭২ খ্রি. ১৭ জানুয়ারী।

জাতীয় প্রতীক : পানিতে ভাসমান শাপলা ফুলের দু’পাশে ধানের শীষ। তার মাথায় পাট গাছের তিনটি পরস্পর সংযুক্ত পাতা। আর উভয় পাশে দুটি করে তারকা। রূপকার- কামরুল হাসান।

জাতীয় মনোগ্রাম : লাল রঙের বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র। বৃত্তের উপরদিকে লেখা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এবং নিচে লেখা সরকার। বৃত্তের দু’পাশে দুটি করে মোট ৪টি তারকা। এটি সরকারী অফিস, নথি, স্মারক, চিঠিপত্র ও বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত হয়। জাতীয় মনোগ্রামের ডিজাইনার- এ.এন. সাহা।

জাতীয় সঙ্গীত : ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’...। এ গানের রচয়িতা এবং সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১৯০৫ খ্রি. গানটি রচিত হয়েছিল এবং ১৯০৫ খ্রি. এই গানটি বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতিবিতান’ কাব্যের সরবিতান কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। ২৫ চরণ বিশিষ্ট এই কবিতার প্রথম ১০টি চরণ বাংলাদেশের জাতীয়  সংগীতের মযার্দা লাভ করেছে ১৯৭২ খ্রি. ১৬ ই ডিসেম্বর। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যন্ত্র সংগীতের মাধ্যমে প্রথম চার লাইন বাজানো হয়। সৈয়দ আলী আহসান আমাদের জাতীয় সংগীত ইংরেজীতে অনুবাদ করেন।

রণ-সঙ্গীত : কাজী নজরুল ইসলামের। ‘চল চল চল’... এর প্রথম ২১ লাইন।

রাজধানী : স্বাধীনতার পরে ঢাকাকে রাজধানী ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতার পূর্বে ঢাকা রাজধানী হয় ১৬১০, ১৬৬০, ১৯০৫, এবং ১৯৪৭ খ্রি. (চারবার)। সুবেদার ইসলাম খান (প্রকৃত নাম শেখ আলাউদ্দিন চিশতি) সর্র্বপ্রথম ১৬১০ খ্র্রি. ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করেন। তিনি ঢাকার নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর। ঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১ আগস্ট ১৮৬৪ খ্রি.। ঢাকা পৌর কর্পোরেশন হয় ২৪ আগস্ট ১৯৮৩ খ্রি. এবং সিটি কর্পোরেশন হয় ১৯৯০ খ্রি.।

বাংলাদেশের জাতীয় : কবি- কাজী নজরুল ইসলাম, ভাষা- বাংলা, পাখি- দোয়েল, মাছ- ইলিশ, গাছ- আম, ফুল- শাপলা, ফল- কাঁঠাল, পশু- রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বন- সুন্দরবন, মসজিদ- বায়তুল মোকাররম (স্থপতি আবুল হাসেম মো. থরিয়ানী), স্মৃতিসৌথ- (অন্যনাম সম্মিলিত প্রয়াস)- সাভার (স্থপতি মো. মইনুল হোসেন), ধর্ম- ইসলাম, পার্ক- ভাওয়াল ন্যাসনাল পার্ক (গাজীপুর), জাদুঘর- শাহাবাগ (ঢাকা), খেলা- হাডুডু (কাবাডি), উদ্যান- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (ঢাকা), নদী- পদ্মা, ভবন- সংসদ ভবন (স্থপতি- লুই আইকান)।

জলবায়ু : ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু।

গড় তাপমাত্রা : নভেম্বর হতে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস (শীতকালীন) থাকে। এপ্রিল হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস (গ্রীষ্মকালীন) থেকে ২১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে।

গড় বৃষ্টিপাত : ২০৩ সেন্টিমিটর। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সিলেটের লালখান, সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয় নাটোরের লালপুরে।

স্বাক্ষরতার হার : জাতীয়ভাবে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। পুরুষ ৭৬.৫৬ শতাংশ ও নারী ৭২.৮২ শতাংশ (২০২২ সালের জনশুমারির প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী)।

বিশ্ববিদ্যালয় : সরকারি ৫৮টি, বেসরকারি ১০৭টি, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ২টি যথা- ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (গাজীপুর) এবং এশিয়া উইমেন্স ইউনিভার্সিটি (চট্টগ্রাম)।

মেডিকেল কলেজ :  সরকারি ৩৭টি। এর মধ্যে সধারণ এম.বি.বি.এস. মেডিকেল কলেজ ২৯টি, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ১টি, আর্র্মি  মেডিকেল কলেজ ৫টি, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ১টি এবং ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক  মেডিকেল কলেজ ১টি।

স্পারসো : মহাকাশ গবেষণা ও দুর অনুধাবন সংস্থা। ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগের খেত্রে একমাত্র পূর্বাভাস কেন্দ্র। এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীন। ১৯৮০ খ্রি. ঢাকার আগারগাঁওতে প্রতিষ্ঠিত হয় (সমুদ্র বন্দরের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা ও হুঁশিয়ারী সংকেত ১১টি এবং নদী বন্দরের জন্য ৪টি)। 

মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা : ২০০৯ খ্র্রি. ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সমুদ্র আইন (১৯৮২ খ্র্রি.) বিষয়ক আদালত (ইটলাস) এ মামলা করে। মিয়ানমারের দাবী সম দূরত্বের ভিত্তিতে ১৩০ কিলোমিটার পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দাবী ছিল ন্যায্যতার ভিত্তিতে ১ লক্ষ ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা পাবে বাংলাদেশ। ইটলাসে বাংলাদেশের মৌখিক সুনানী হয় ৮-১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ খ্র্রি. এবং ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ খ্র্রি. ২য় দফা সুনানী হয়।  র্জামানীর হামবুর্গ ভিত্তিক ইন্টারন্যাসনাল ট্রাইবুনাল ফর দ্যা ল অ্যান্ড সি (ওঞখঙঝ) বাংলাদেশের পক্ষে ১৬১পৃষ্টার রায় ঘোষনা করা হয় ১৪ মার্চ ২০১২ খ্র্রি.। সভাপতি ছিলেন হোসে লুই এবং বিচারক ২৩ জন। ২১-১ ভোটে রায় ঘোষনা করা হয়। ২০০ নটিক্যাল মাইল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এলাকা এবং মহীসোপানে বাংলাদেশের মালিকানা ২১ লক্ষ ৭২ হাজার বর্গ কিলোমিটারের সমান।

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা : নেদারল্যান্ড এর স্থায়ী  সালিশি আদালত (পি.সি.এ) বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩১ মে ২০১১ খ্র্রি.। ২০১৪ খ্রি.  ৭ জুলাই  রায় ঘোষনা করা হয়। বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাংলাদেশ পায় ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার এবং  ৬১৩৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পায় ভারত।

নোট ও মুদ্রা : স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার সর্বপ্রথম ১ টাকা ও ১০০ টাকার নোট চালু করে ৪ মার্চ ১৯৭২ খ্র্রি. এবং ধাতব মুদ্রা চালু হয় ১৯৭৩ খ্র্রি.। বাংলাদেশে প্রচলিত কাগজের নোট ৯ টি যথা :- ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নোট ৬ টি যথা : ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকা। এই ৬ টি নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।

সরকারী নোট ৩টি যথা- ১, ২ এবং ৫ টাকার নোট। এই নোটে অর্থসচিবের স্বাক্ষর থাকে। ১০ টাকার পলিমার নোট চালু হয় ২০০০ খ্র্রি. হতে এবং ১০০০ টাকার নোট চালু হয় ২৭ অক্টোবর ২০০১ খ্র্রি.। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধানের পদবি গর্ভনর এবং তার মেয়াদ ৪ বছর।

ডাকঘর ও ডাকটিকেট : বিশ্বে প্রথম ডাক ব্যবস্থার প্রচলন করা হয় মিশরে খ্রী: পূ: ২০০০ অব্দে। উপমহাদেশে শেরশাহ প্রথম ঘোড়ার পিঠে ডাকব্যবস্থা প্রচলন করেন। বাংলাদেশ ভূখন্ডে ইংরেজরা সর্বপ্রথম ডাকঘর স্থাপন করে কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গায়। মুজিবনগর সরকার সর্ব প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত ডাকটিকেট চালু করে ২৯ জুলাই ১৯৭১ খ্র্রি.। ভাষা আন্দোলনের ২০ তম বার্ষিকিতে প্রথম স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়। স্বাধীনতা পরে প্রথম প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেটের মূল্য ছিল ২০ পয়সা এবং ইহাতে শহীদ মিনারের ছবি ছিল।

বিশ্ব ঐতিহ্য : নওগা জেলার পাহাড় পুরের বৌদ্ধবিহারকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ১৯৮৫ খ্র্রি.। বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ মসজিদকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ১৯৮৫ খ্র্রি.। (নাম ষাট গম্বুজ মসজিদ হলেও প্রকৃত পক্ষে গম্বুজের সংখ্যা ৮১ টি)। সুন্দরবনকে ইউনেস্কো ৫২২ তম বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ১৯৯৭ খ্র্রি. ৬ ডিসেম্বর।

খনিজ সম্পদ : প্রাকৃতিক গ্যাস, চুনাপাথড়, কয়লা,কঠিন শিলা, লিগনাইট, সাদা মাটি, সিলিকা বালি, তেজস্ক্রিয় বালি ইত্যাদি।

ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র : ৪টি যথা বেদবুনিয়া, তালিবাবাদ, মহাখালী ও সিলেট।

ইন্টারনেট চালু হয় ৪ জুুন ১৯৯৬ খ্রি. এবং থ্রিজি চালু হয় ১৪ অক্টোবর ২০১২।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪১টি। 

সাপ্তাহিক ছুটি : রবিবারের পরিবর্র্তে শুক্রবার করা হয় ১৯৮৪ খ্রি. এবং শুক্র ও শনিবার করা হয় ১৯৯৬ খ্রি.। 

উপত্যকা বা ভ্যালি : ভেঙ্গি ভ্যালি (রাঙামাটি), হালদ্যা ভ্যালি (খাগড়াছড়ি), বালিশিরা ভ্যালি  (মৌলভীবাজার) এবং সাংগু ভ্যালি (চট্টগ্যাম)। 

বিভাগ : বাংলাদেশের মোট বিভাগ ৮টি; যথা- ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ও ময়মনসিংহ। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বিভাগ সংখ্যা ২টি; যথা- কুমিল্লা বিভাগ ও পদ্মা বিভাগ।

জেলা : বাংলাদেশের মোট জেলা ৬৪ টি।

উপজেলা : বাংলাদেশের মোট উপজেলা ৪৯৫ টি।

থানা : বাংলাদেশের মোট থানা ৬৫২ টি, মডেল থানা ৬২ টি, মেট্রোপলিটন পুুলিশ থানা ৮৭ টি, নৌ থানা ১০ টি, রেলওয়ে থানা ২৪ টি (পূূর্বাঞ্চালে ১২ টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১২ টি)।

গ্রাম : বাংলাদেশের মোট গ্রাম ৮৭৩১৯ টি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাম হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রাম (২০১১ সালের পঞ্চম আদমশুমারি অনুযায়ী)।