Posted on 5th Feb 2023 11:29:41 PM Grammar
তৎসম শব্দ: যে সব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সে সব শব্দকে তৎসম শব্দ বলে যেমন— ব্যাকরণ, গগন, চরণ, অগ্রহায়ণ, ভোজন, শয়ন, জীবন, চন্দন, ভবন, বৈঞ্চব, তৃন, বন্য, গৃহিনী, ভাষা, খন্ড, গৃহ, কৃষি, ঋষি, মনষ্য, নৃত্য, করি, ছবি, জল, চন্দ্র, সূর্য, ধর্ম, পুত্র, পাত্র, মাতা, আকাশ, উত্তর, উদার, সাগর, শ্রাদ্ধ, নদী, জ্যোৎস্না, পর্বত, রবি, শশি, পিতা, ভ্রাতা, ক্ষমতা, অদ্য, ক্ষতি, মুক্তি, চর্ম, বায়ু।
অর্ধ তৎসম শব্দ: কিছু সংস্কৃত শব্দ কিছুটা পরিবর্তন হয়ে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করছে। এদেরকে অর্ধ তৎসম শব্দ বলে যেমন— নেমন্তন্ন, জোসনা, ছেরাদ্দ, কেষ্ট, গিন্নী, পুত্তুর, পেন্নাম, যতন, পরান, রাত্তির, সুরুজ, মিষ্টি, তেষ্টা।
তদ্ভব শব্দ: সংস্কৃত ভাষায় সে সকল শব্দ নানা পরিবর্তনের মধ্যদিয়া বাংলা ভাষায় প্রবেশ করছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলে। এইগুলি খাঁটি বাংলা শব্দ যেমন— আজ, কাজ, হাত, চাঁদ, চামার, মা, বৌ, পা, ঘি।
দেশী শব্দ: বাংলাদেশের আদিম ও অনার্য অধিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত হয়েছে। এইগুলি দেশী শব্দ যেমন— চাউল, ঢেঁকি, কুড়ি, কুলা, চুলা, কালো, ঘর, খাড়া, খোঁটা, গঞ্জ, চিংড়ি, ডাব, চোঙ্গা, টোপর, বাদুড়, কামড়, ডাগর, খড়, ডিংঙ্গা, ঢিল, ঢাল, ঢোল, পেট, পাঠা, মোটা, ঝাঁটা, কাঁটা, গয়ণা, পয়লা, কয়লা, নারিকেল, যাঁতা, চোঙ্গা।
বিদেশী শব্দ: রাজনৈতিক, সংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ এদেশে আসে। এ সকল মানুষের নিজ নিজ ভাষায় ব্যবহৃত আনেক শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে। এই সকল শব্দকে বিদেশী শব্দ বলে। যেমন—
আরবি শব্দ: আল্লাহ্, কুরআন, ইমান, কাফন, আমিন, শয়তান, লোকসান, খতিয়ান, কানুন, তুফান, হালাল, দালাল, উকিল, মুসকিল, দাখিল, গোসল, আসল, আমল, কবুল, অছিলা, কলা, মোল্লা, আমলা, হারাম, তামাম, কাফের, কবর, আকবর, মিনার, ফকির, জেরা, দায়রা, আমানত, জাকাত, জেহাত, আখেরাত, কেয়ামত, অযুহাত, দোয়াত, আমির, এজাহার, খবর, আতর, তারিখ, তালাখ, ফরজ, গায়েব, হুলিয়া, দুনিয়া, গরিব, কলম, মলম, খতম, জুলুম, মুন্সেফ, সিন্দুক, এলাকা, জমজমাট, ওমরা, এজলাস, ওজন, কসাই, কামিজ, ক্রোক, খতিব, খালি, খাসি, ছবি, ছাদ, জরিমানা, জরিপ, জলসা, জাহাজ, বকেয়া, রায়, মহাকুমা, নবাব, মসনদ, লেবু, হিস্যা, সর্ত, আসামি, খাজনা।
ফারসি বা পারসি শব্দ: খোদা, খরিদ, খুচরা, খনি, খুন, খুশি, গরম, গর্দান, গালিচা, গোরস্থান, গোয়েন্দা, গোলাপ, গুনা, পয়গম্বর, পেয়াদা, পেসকার, পাইকারি, কামান, কারখানা, কারিগর, কারবার, কাগজ, বাগান, বালিশ, বাগিচা, বাদাম, বরফ, বেগম, বিবি, বাদসা, বেহেস্ত, নামাজ, দোজখ, ফেরেস্তা, মুর্দা, দোকান, চসমা, জবানবন্দি, তারিখ, দর্জি, আসল, মহিলা, চাকর, আমদানি, রপ্তানি, নমুনা, আবাদ, জমি, আয়না, চাকরি, দারোয়ান, রশদ, মেথর, হিন্দু, শিন্নী, তুফান, লাল, শাদি, দরবেস, চাঁদ।
ইংরেজি শব্দ: সিগন্যাল, পেন্সিল, টেবিল, নভেল, ফুটবল, রেল, বিল, চেয়ার, মাষ্টার, নম্বর, স্টিমার, থিয়েটার, পাউডার, টিন, টিফিন, কেরোসিন, ইউনিয়ন, পেনসন, স্টেশন, ইঞ্জিন, সার্জন, টিকিট, নোট, কোট,র্ লাইব্রেরী, গেলাস, ক্লাশ, বোনাস, পুলিশ, সার্কাস, সিনেমা।
পর্তুগিজ শব্দ: আলমারি, আমলা, আলপিন, আলকাতরা, আনারস, আচার, পেয়ারা, পাউরুটি, বোতাম, বালতি, পেপে, গুদাম, চাবি, তোয়ালে, গীর্জা, গামলা, সাবান, বাসন, বোমা, কাবাব, টুপি, কেরাণি, পেরেক, ফিতা, কামিজ, বর্গা, পাচার, নিলাম, কপি, মার্কা, বেহালা, তামাক, যিশু, বারান্দা, পিস্তল, সালসা।
তুরকী শব্দ: চাবুক, উজবুক, ক্রোক, চাকু, মুচলেকা, কুলি কাঁচি, কোর্মা, চাকর, আলখাল্লা, মোরগ, দারোগা, দাদা, নানা, নানি, লাশ, বারুদ,বাহাদুর, বাবা, বেগম, বোচকা, বাবুর্চি, মোগল।
ফরাসি শব্দ: রেস্তোরা, কার্তুজ, গ্যারাজ, বুর্জোয়া, ডিপো, কুপন, আতাত, ক্যাফে।
ওলন্দজ শব্দ: রুইতন, হরতন, ইস্কাপন, টেক্কা, তুরূপ।
হিন্দী শব্দ: ভাই, বোন, মামা, মামি, চাচা, চাচি, কাহিনী, পানি, টহল, জঙ্গল, ফালতু।
জাপানি শব্দ: রিক্সা, সাম্পান, লিচু, প্যাগোডা, হারিকিরি।
গ্রীক শব্দ: ইউনানী, কেন্দ্র, দাম।
চীনা শব্দ: চা, চিনি।
গুজরাটি শব্দ: হরতাল, খদ্দর।
বার্মা শব্দ: লুঙ্গি, ফুঙ্গি।
মেক্সিকান শব্দ: চকলেট।
পেরু শব্দ: কুইনাইন।
তামিল শব্দ: চুরুট।
অস্ট্রেলিয়ান শব্দ: ক্যাঙ্গারু, বুমেরাং।
দক্ষিণ আফ্রিকান শব্দ: জেব্রা।
Word, Meaning, শব্দ, শব্দার্থ, অর্ধ, তৎসম, দেশী, বিদেশী, আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, তুরকী, ফরাসি, ওলন্দজ, হিন্দী, জাপানি, গ্রীক, চীনা,
Share on Facebook